অনলাইন ডেস্ক:
সিএনসির সৈয়দ আলী আহসান স্মরণ সৈয়দপুরে
পৌরমেয়রসহ পদক পেলেন ৪ গুণীজন
“এসো নানা আলোর মাঝে নিজের আলো খুঁজি” -এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে ইকো হেরিটেজ রিসোর্টে (সাবেক কানাডা বিল্ডিং) সেন্টার ফর ন্যাশনাল কালচার (সিএনসি) আয়োজিত গত ২৫ ডিসেম্বর (বুধবার) জাতীয় অধ্যাপক জীবনশিল্পী সৈয়দ আলী আহসান স্মরণে গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, এটি সিএনসির দুই বছরের জন্য ধারাবাহিক (৩০.৭.২০১৯ – ৩০.৭.২০২১) অনুষ্ঠানের ৮ম পর্ব।
জাতীয় অধ্যাপক মনীষী সৈয়দ আলী আহসান ছিলেন, ভিন্নমাত্রার একজন শ্রেষ্ঠতর মুক্তিযোদ্ধা। তাঁর কালের প্রাজ্ঞ অভিভাবক। দেশের সব সরকারই তাঁর উপদেশ ও পরামর্শ গ্রহণ করেছেন পদ-পদবী দিয়ে বা না দিয়ে। তিনি শুধু জ্ঞান বিতরণ করেননি, অবারিতভাবে সঞ্চার করেছেন প্রজ্ঞান ও অভিজ্ঞান। প্রত্যাদিষ্ট বিবেচনায় ও অর্জিত জ্ঞানের অকুণ্ঠ মিলন ঘটেছিল তাঁর মধ্যে। বিবেক বুদ্ধিসম্পন্ন স্বচ্ছ এই পণ্ডিত ব্যক্তির তুলনা মেলাভার।
উপরে উল্লেখিত কথামালা উচ্চারিত হয় বক্ষ্যমান এই অনুষ্ঠানে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর চামড়া-শিল্প বিষয়ক সাবেক পরামর্শক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, সাবেক শিল্পপতি এবং সিএনসির সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ, সৈয়দপুর মহাবিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যক্ষ ও বিশিষ্ট লেখক হাফিজুর রহমান এবং লেখক, প্রকাশক ও সিএনসির ট্রাস্টি এমদাদুল হক চৌধুরী।
সমাজসেবায় বিশেষ অবদান রাখায় “সৈয়দ আলী আহসান সিএনসি পদক” পেলেন সৈয়দপুর পৌরমেয়র জনাব আমজাদ হোসেন সরকার। তিনি দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে পৌরসভার মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ অঞ্চলের জনতার জীবনমান উন্নয়নসহ নানামুখী সমাজসেবা ও শিক্ষামূলক কর্মকান্ড পরিচালনার মাধ্যমে অসাধারণ অবদান রেখে চলেছেন। তাঁর সাথে আরো ৩জন স্থানীয় বরেণ্য ব্যক্তিকে জীবনব্যাপী মননশীলতার ক্ষেত্রে অবদান রাখার প্রেক্ষিতে
একই পদক প্রদান করা হয়। তারা হলেন- অধ্যক্ষ সাবিনা সালাম, মুফতি মইনুল ইসলাম এবং চারণকবি আবুল হোসেন আদানী(মরণোত্তর)।
অনুষ্ঠানে সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন কবি ও সাহিত্য সংগঠক আকমল সরকার রাজু।
pbnews/nikhanmamun