মাদারীপুর সদর হাসপাতালে কাতরাচ্ছে ধর্ষণের শিকার ৪ বছরের এক শিশু। মাদারীপুরের পার্শ্ববর্তী মুকসুদপুর (গেপালগঞ্জ) উপজেলায় শিশুটি ধর্ষণের শিকার হলে তাকে প্রথমে রাজৈর উপজেলা হাসপাতাল ও পরে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্র ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার এক দিন মজুরের শিশু কন্যাকে একই গ্রামের এমারত মোড়লের ছেলে আর্থিন মোড়ল (১৫) বাড়ির পাশের একটি পাট ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটির মা টের পেলে পালিয়ে যায় আর্থিন। পরে শিশুর মা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজৈর উপজেলা হাসপাতালে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ নিয়ে স্থানীয় কয়েক জন সালিসদার বিষয়টি মিমাংসার নামে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে।
নির্যাতিতা শিশুর মা বলেন, ‘বাড়ি থেকে মেয়েকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে আর্থিন মোড়ল। পরে আমাকে দেখে ওই ছেলে পালিয়ে যায়। আমরা গরীব মানুষ। প্রথমে এলাকার লোকজন সালিস করবে বলেছিল। আমি এর বিচার চাই।’
স্থানীয় মাতুব্বর ফিরোজ মল্লিক বলেন, ‘বিষয়টি জানি। সত্য ঘটনা তো চাপা থাকে না। অনেকেই চেয়েছিল সালিসের নামে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে। আমি মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করে মামলার পরামর্শ দিয়েছি। ওই ছেলে এর আগেও এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।’
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেলের প্রোগ্রাম অফিসার মিনারা হোসেন বলেন, ‘ধর্ষণজনিত ঘটনায় মাদারীপুর সদর হাসপাতালে একটি শিশু ভর্তি হয়েছে।
মুকসুদপুর থানার ওসি মোস্তফা কামাল পাশা বলেন, ‘গ্রামে এ ধরনের ঘটনা চাপিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়। বিষয়টি জানি না। জেনে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।’
