পর্তুগাল বাংলানিউজ ডেস্ক: রবি ঠাকুরের উক্তি টি সঠিক তাই কি ধরে নিবো নাকি, সংকটাপন্ন ফারাবীর জন্য না ভেবে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা ভাববো.? ফারাবী মতোই প্রাচ্যের অক্সফোর্ড যে আজ আই সি ইউতে সেই দিকে অনেকেরই হয়তো চোখ নেই! পৃথিবীর সেরা বিশ্ববিদ্যালয় তালিকায় দূরবীন লাগালে ২৫০০ নাম্বারের সিয়ালের আগে পরে হয়তো পাবেন আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম! নব্বইয়ের দশক থেকে কিছুটা মনে আছে। জাতীয় ইস্যু নিয়ে এক একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের বিবৃতি জাতীর বিবেককে কাঁপিয়ে দিত।
আজ হাজারো শিক্ষকের বিবৃতিও কেউ হিসেবের মধ্যেই নেয় না। অতীতে ছাত্র রাজনীতিতে জাতীর সকল বৃহৎ অর্জনে ভূমিকা রেখেছিলো এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। আর এখনকার ছাএরা চর দখলের মতো হল দখলে ভূমিকা সহ রাজনীতির মাঝে নতুন নতুন দৃষ্টান্ত স্হাপন করছে। ক্ষমতার শক্তি প্রদর্শনের জন্য সনি, আবরার, বিশ্বজিতের মতো নিরিহ ছাএদের লাশ বানিয়ে জাতীকে উপহার দের। জন্মদেয় মনষ্টার, চাঁদাবাজদের। একজন ডাক্তার মিলনের লাশ পুরো দেশে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। এখন হাজারো লাশেও আমাদের বুদ্ধিজীবিদের মনে কিছু জ্বালাতে পারেনা। একজন সাংবাদিকের লিখনী শোষকের ভীত নাড়িয়ে দিত। এখন সাংবাদিকের পরিচয় পত্রটাই কেমন যেন ঘৃনার জন্মদেয়। একজন কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক নেতাও শুন্যহাতে সম্মান নিয়ে মাথা উঁচু করে ঘরে ফিরতেন। এখন অমুক তমুক নেতাও কোটি কোটি টাকা আর মানুষের ধিক্কার নিয়ে ঘরে ফিরেন। ন্যায় বিচারের প্রতীক সামনে নিয়ে একজন বিচারকের করা সামান্য মন্তব্যও অনেক কিছু বদলে দিতো। এখন বিচারকের দেয়া চুড়ান্ত রায় কিছু করতে পারেনা। এই অবস্হায় আমরা একদিনে আসিনি।
প্রতিটি ক্ষমতার পালাবদলের সাথেই অনেক কিছু বন্ধ হয়। শুধু দুরন্ত গতিতে এগিয়ে যায় লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি। আসলে লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি রাষ্ট্রের প্রতিটি কাঠামোকে, প্রতিটি পেশার মানুষকে, আমাদের বিবেককে এতটাই ধ্বংশ করে দিয়েছে যে আমরা অমানুষ হয়ে গেছি। প্রতিটি মানুষ কেমন যেন অন্ধ হয়ে গেছি। স্বাভাবিক সত্যটাকে দেখতে পাইনা। দেশের শিক্ষিত সমাজটাই যেন সবচেয়ে বেশী অন্ধ। তাই আজ আর জাতীর বিবেকদের বিবেকহীন চিৎকার কেউ আমলে নেয়না। তাই আমাদের উচিত ভিপি নুর কিংবা ফারাবীকে বাঁচানোর চিন্তা না করে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অক্সিজেন দেয়া। লেজুড়বৃত্তির রাজনৈতিক প্রশাসন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে মুক্তি দেয়া। তাহলেই হয়তো ফারাবীরা বেঁচে যাবে। পরিবর্তন করা উচিত নিজের রাজনৈতিক অন্ধ বিবেককে। বন্ধ করা উচিত দল কিংবা নেতার অন্যায়কে সমর্থন করা। তাহলেই হয়তো বদলে যাবে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ।
লেখক-নজরুল ইসলাম সুমন। উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য, পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাব।
Pbnews/Anamulhaqe