হানিফ খান দাউদকান্দি (কুমিল্লা): কুমিল্লার তিতাস উপজেলার ভিটি কান্দি ইউনিয়নের কদম তলী দক্ষিণ পাড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ইব্রাহিম খলিল (২১) শারিরীক প্রতিবন্ধী ও আঃ বাতেন এর ছেলে আলী আকবর (৪২) মানুষিক প্রতিবন্ধী ভাতাযোগ্য হিসেবে তাদের নাম তালিকা ভুক্ত হয় ইউনিয়ন পর্যায় জরিপে ২০১৩ সালে। কিন্তু দুঃখের বিষয় আজও তারা চুড়ান্ত ভাবে নির্বাচিত হতে পারেন নি। নিয়ম রয়েছে ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে নাম পাঠানো হয় চেয়ারম্যান বরাবরে, আর তিনিই চুড়ান্ত করেন ভাতাযোগ্যদের।বিশেষ বিবেচনায় তালিকা তৈরী না হলে এই দুই ব্যক্তি বহু পূর্বেই ভাতাযোগ্য এমন মন্তব্য এলাকা বাসীর।আলী আকবর প্রায় ৮ বছর ধরে মানুষিক প্রতিবন্ধী, তার স্ত্রী নাজমা অন্যের বাড়ীতে ঝি এর কাজ করে ৩ সন্তান সহ ৫ জনের সংসার চালায়, স্বামীর চিকিৎসা করার অর্থ নেই। তার পরও ভাতা জুটেনি এই পরিবারে।
একই গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ইব্রাহিম খলিল শারিরীক প্রতিবন্ধী তার তালিকাও একই জরিপ কালে করা হয়, দুজনেরই শ্লিপ দেওয়া হয় অথচ চুড়ান্ত ভাবে নির্বাচিত না করায় তার ভাগ্যেও জুটেনি ভাতার টাকা।কথিত রয়েছে বিভিন্ন অনিয়ম দূর্নীতির কারনে উপজেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের এই ইউনিয়নের দায়িত্ব প্রাপ্ত এক কর্মকর্তাকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। ১৬ অক্টোবর বুধবার সমাজ সেবা অফিসে গিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে ভিটি কান্দি ইউনিয়নের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম ডেপুটেশনে অন্যত্র কাজ করছেন। নতুন তালিকায় তাদের নাম পৌছেছে কি না অফিসের অন্য কর্মকর্তারা বলতে পারছেন না। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হলেন আবুল হোসেন মোল্লা, তাকে ফোন করে তালিকা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,তালিকা না দেখে বলা যাবে না,যদি বাদ পরে থাকে ভবিষ্যতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।সংরক্ষিত ইউপি সদস্যা মায়া বেগম ও সদস্য আলমগীর হোসেন বলেন, তারা ভাতা পাওয়া যোগ্য।