অনলাইন ডেস্ক :
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুটের ৯টি ফেরিতে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচ বছর আগে ফগ অ্যান্ড সার্চলাইট সংযোজন করা হলেও কুয়াশায় তা কোনো কাজেই আসছে না। ঘন কুয়াশায় তো দূরের কথা হালকা কুয়াশায় ফেরী চালাতেও এর কোনো ভূমিকা নেই। ফলে শীতের মৌসুমে প্রায় প্রতিদিনই ঘন কুয়াশা পড়লে বন্ধ থাকছে ফেরি চলাচল, ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না এ রুটে চলাচলকারী হাজার হাজার যাত্রী ও যানবাহন চালকেরা।
জানা গেছে, ঘন কুয়াশার কারণে প্রতিবছরই দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এমনকি দিনের পর দিন। এ সমস্যা থেকে রেহাই পেতে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে এই নৌ-রুটের ফেরি খানজাহান আলী, শাহ আলী, কেরামত আলী, ভাষা শহীদ বরকত ও কে-টাইপ ফেরি কপোতি, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীন, বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর, শাহ আমানত ও শাহ পরান ফেরীতে ফগ অ্যান্ড সার্চ লাইট সংযোজন করা হয়। ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে পরীক্ষামূলকভাবে এ লাইটগুলো সংযোজন করা হলেও ওই বছরের শীত মৌসুমেও কোনো কাজ করেনি লাইটগুলো। এরপর চার বছর পার হলেও লাইটগুলো মেরামতের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ।
চলতি সপ্তাহের গত সোমবার রাত সাড়ে ৩টার পর থেকে গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত, মঙ্গলবার রাত ১১টার পর থেকে গত বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত, গত বুধবার দিবাগত রাত ৩টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৫টার পর্যন্ত দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরী সার্ভিস বন্ধ করে দেয় কতৃপক্ষ। ফলে যানবাহন চালক ও যাত্রীদের তীব্র ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
গোলাম মাওলা ফেরীর মাস্টার শফিকুলসহ একাধিক ফেরীর ক্যাপ্টেন (চালক) জানান, ফেরীতে যেসব লাইট আছে সেগুলো নিম্নমানের হওয়ায় কুয়াশায় কোনো কাজ করে না। এই লাইট দিয়ে কুয়াশা ভেদ করে কিছুই দেখা যায় না। ফেরী চালাতে হলে ন্যূনতম ১ হাজার ফুট সামনে স্পষ্ট দেখতে হয়। কিন্তু এই লাইটে তার কিছুই দেখা যায় না। যে কারণে যখন কুয়াশা পড়ে তখনই ফেরি বন্ধ করে অলস বসে থাকতে হয়। এ বিষয়ে এর আগে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরিদর্শন করে গেছেন কিন্তু কোন লাভ হয় নাই। এর একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন বলেও জানান তারা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) পাটুরিয়া ঘাট শাখার ডিজিএম জিল্লুর রহমান ফগলাইট সম্পর্কে বলেন, হেড অফিসে কথা বলুন। এ সম্পর্কে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে মানুষ ও যানবাহন পারাপারের জন্য বর্তমানে ১৪টি ফেরি চলছে।
pbnews/ n.k