হানিফ খান কুমিল্লা থেকে : কুমিল্লার কাবিলায় ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালের আঙ্গিনায় আজ দীর্ঘ সময় কাটালাম। ২৮ নভেম্বর ২০১৯, বুধবার সাথে গৃহিণীও ছিলেন। শনিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ১১তম ব্যাচের নিয়মিত চুড়ান্ত (ফাইনাল) পরীক্ষা। বর্তমানে ১৬ তম ব্যাচ অধ্যয়ন করবে এই ক্যাম্পাসে, সমাগত পরীক্ষার শেষ মূহুর্তে পরিবারের ও নিকটজন দের দেখতে যাওয়া। ক্যাম্পাসের সর্বত্র কর্মব্যস্ত শিক্ষক, শিক্ষার্থী,ডাক্তার ও রোগী। আরো ব্যস্ত কর্মকর্তা -কর্মচারী, কারন বিএমএ এর উর্ধতন কর্মকর্তা বৃন্দ এসেছেন প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শনে।
এর ফাঁকে ঘুরে দেখেছি পুরো প্রতিষ্ঠানাঙ্গন, নির্মান হচ্ছে নতুন বহুতল জামে মসজিদ, ছাত্রদের আবাসিক নিবাস মেজর গনি ও ছাত্রীদের আবাসিক নিবাস শান্তি- সুণীতি হল। একাডেমিক ভবন, হসপিটাল ভবন, কনফারেন্স মিলনায়তন, ক্যান্টিন, ফার্মেসী, ওয়ার্ড -কেবিন, বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চেম্বার ও সুশীতল বৃক্ষের মায়া মনি ছায়া ঘেরা আবরণ। শিক্ষার্থীরা হোস্টেলে যাচ্ছে ড্রেস-আপ করে বের হচ্ছে কেউ লাইব্রেরিতে, দেশী -বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রিয়প্রাঙ্গন এই প্রতিষ্ঠান। ইন্টার্নশিপ শেষে পোস্ট গ্রাজুয়েশনে ছুটে যাবে মানচিত্রের কোনো না কোনো দেশে অথবা স্বদেশে। এরই মাঝে জেলার বিভিন্ন উপজেলার শ্নেহতুল্য শিক্ষার্থী ও ডাক্তারদের সাথে দেখা করে ওদের সাথে কুশলাদি বিনিময়ের সুযোগ হয়। এর মধ্যে দাউদকান্দি রায়পুরের কামাল উদ্দিন চৌধুরীর ছেলে শ্নেহের ভাতিজা ইমনকে তার ৩০৭ নম্বর রুমে গিয়ে দেখা করি, প্রিয় মূখগুলো দেখে ফেরাটা খুব কষ্টকর মনে হয়েছে। বিশেষ মিটিং থাকায় প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা.গোলাম সামদানির সাথে সাক্ষাৎ না হলেও সাক্ষাৎ হয়েছে চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.শাহ্ মোহাম্মদ সেলিম এর সাথে, তিনি এখনো সেই আগের মতোই রয়েছেন হাসিতে মানুষের মনকে জয় করা। দেশের সকল মেডিকেল স্টুডেন্ট এর সাফল্য কামনায় বিদায় নেই ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল থেকে।