ইতালি প্রতিনিধি: ইতালির মিলান শহরে বাজ্জিও এলাকায় রবিবার সকালে বাংলাদেশী দু’ভাইর মৃত্যু দেহ উদ্ধার করেছে ইতালিয়ান পুলিশ।পুলিশের প্রাথমিক ধারণা হলো এক ভাই অন্য ভাইকে বড় ধরনের ছুরি দ্বারা আঘাত করলে বড় ভাই আব্দুল হাই (৪১)মারা যায়।ছোট ভাই জমির উদ্দিন (৩৮), অনুশোচিত হয়ে গলায় ফাঁশ দিয়ে আত্মহত্যা করে।
এ্যাপার্টমেন্টে প্রচুর রক্তপাত দেখা গেছে।ধারণা করা হচ্ছে ছোট ভাই মদ্যপানে লিপ্ত থাকতো প্রায়শই বড় ভাই বার বার নিষেধ করা ও সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়েছে এবং তারই জের ধরে হয়তো এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে।ইতালির জনপ্রিয় দৈনিক প্রত্রিকা Corriere della sera সহ অনেক গুলো পন্রিকায় ঘটনাটি প্রকাশ করেছে। রবিবার সকাল ১০:২০টায় পাশের বিল্ডিংয়ের শ্রিলংকার একজন জানালা দিয়ে লক্ষ করে সামনের বিল্ডিংয়ের একজন গলায় ফাঁশ দিয়ে ঝুলে আছে। তাৎক্ষণিক সে ১১২ জরুরি বিভাগে ফোন করে বিষয়টি অবহিত করে এবং অল্প সময়ের মধ্যে ঘটনা স্থলে পুলিশ আসে।পুলিশ ফ্লাটে প্রবেশ করে আরও একটি মৃত্যু দেহ রক্তাক্ত অবস্হায় মেঝেতে দেখতে পায়।রক্তস্রোতের ধারা যেন প্রবাহিত হয়েছিলো।এরপর বারান্দায় যেয়ে ঝুলন্ত অন্য একটি মৃত্যুদেহ উদ্ধার করে।বারান্দার সামনের বাগানে বড় একটি ধারালো রতমাখা ছুরি উদ্ধার করে পুলিশ।পাশের প্রতিবেশীর ভাষ্যমতে ঘটনার রাত প্রায় ২ঃ৩০ টায় অনেক শব্দ শোনা যায় রুমে।চিৎকার শোরগোল। এরপর নীরব,নিশ্চুপ।এর কয়েক মাস পূর্বে তৃতীয় ভাই মিলানের ছেস্ত সানজোভান্নি এলাকায় সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যায়।এরপর থেকেই দু’ভাইর মধ্যে ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকতো।দ্বিতীয় ভাইটি মধ্যপান সহ অন্যান্য বাজে পথে চলে গেলে বড় ভাই অনেক চেষ্টা করেছে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার জন্য। ঘটনার রাত্রে হয়তো সে বিষয়কে কেন্দ্র করেই এই মৃত্যুর কারন হতে পারে।বড় ভাই মিলান শহরে সাপ্তাহিক খোলা বাজারে কাপড়ের ব্যবসা করতো। তবে বাংলাদেশী দু’ভাইর বিস্তারিত বিষয় এখনও জানা যায়নি।খুব শিঘ্রই ঘটনাটি সম্পর্কে জানা যাবে।